নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই আন্দোলনের উস্কানি দেওয়ার পুরষ্কার পেয়ে গেলেন যমুনা টিভির সিইও ফাহিম আহমেদ। মেটিকুলাসলি ডিজাইন ওই আন্দোলে যমুনা টিভির প্রোপগান্ডা ছিল চোখে পড়ার মতো। আন্দোলনে তারা জনগণকে দিয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভুল তথ্য। যা আন্দোলনকে আরও বেগবান করেছে।
গত জুলাইতে মেটিকুলাস ডিজাইনের অংশ হিসেবে আন্দোলনের সময় একটি অনুষ্ঠানে যমুনার অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর রোকসানা আনজুমান নিকোল বলেন, পানি লাগবে পানি। আন্দোলনে নিহত মুগ্ধের একটি কথাকে উদ্বৃত্ত করে তিনি এ কথা বলেন এবং কেঁদে দেন। যা দেখে অনেকেই আবেগ আপ্লুত হয়। তবে যমুনা টিভি পুলিশ হত্যা বা বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগের বিষয়ে একেবারেই চুপ ছিল।
সূত্র বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার যে নতুন দুইটি টিভির লাইসেন্স দিয়েছে এর মধ্যে একটির নাম “লাইভ টিভি”। এই টিভির মালিক হিসেবে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আরিফুর রহমানের নাম থাকলেও এর পেছনে রয়েছে বর্তমানে মিডিয়ার মাফিয়া হিসেবে পরিচিত, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফাহিম আহমেদ। যাকে মিডিয়ার সবাই জামাতে ইসলামের মিডিয়া শাখার নায়েবে আমির নামেই চেনে।
সূত্র জানায়,
চট্টগ্রাম কলেজের শিবিরের সাবেক সাথী এই ফাহিম আহমেদ বর্তমানে কয়েক শ কোটি টাকার মালিকও বনে গেছেন। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ফ্লাট, পূর্বাচলে ৬৫ কাঠা জমি, দুবাইয়ে স্বর্ণের ব্যবসা সহ আরও নাম না জানা ব্যবসা সাজিয়ে বসেছেন মাত্র ১ বছরে। এর আগে আওয়ামী লীগ আমলে ভোলার এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওনের হাত ধরেই ফাহিম আহমেদের ক্ষমতার উত্থান শুরু হয়। সেই সময় থেকে এই ফাহিম যমুনা টিভিতে বেছে বেছে শিবিরের কর্মীদের নিয়োগ দেয়। আর যমুনা টিভির প্রেজেন্টার রোকসানা আনজুমান নিকোল ও বৃষ্টি আহমেদকে ফাহিম তার রক্ষিতা হিসেবে ব্যাবহার করে আসছে গত ৭ বছর ধরে। যমুনা টিভির সকল সদস্যই গোপনে নিকোলকে বলে যমুনা টিভির আম্মু। আর ফাহিম আহম্মেদকে বলে যমুনা টিভির আব্বু।
মূলত যমুনা টিভির মালিক শামীম আহমেদকে নারী ( রোকসানা আঞ্জুমান নিকোল ও বৃষ্টি আহমেদসহ) সাপ্লাই দিয়েই ফাহিম আহমেদ যমুনা টিভির একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হয়। আর এখন ফাহিম আহমেদ গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য হয়ে বাগিয়ে নিয়েছেন একটা টিভি চ্যানেল।
এর আগে ২০২৪ সালের আন্দোলনের সময় জুলাই মাস থেকেই পুলিশের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য যমুনা টিভির স্টিকার যুক্ত দুইটি নোয়া গাড়ি হাসনাত, সার্জিস, মাহফুজ, নাহিদ, সজিব ভূইয়াসহ অনেকেই ব্যবহার করতে। আর এই সুবিধা করে দিত ও যমুনা টিভির সিইও ফাহিম আহমেদ।
সম্প্রতি, কথিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখার অযুহাতে দুই এনসিপি নেতাকে নীতি-বহির্ভূত ভাবে ২টি টেলিভিশন লাইসেন্স অনুমোদন দেন ইউনূস সরকার। চ্যানেল দুটির নাম ‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’। নেক্সট টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান তুহিন। লাইভ টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন নাগরিক কমিটির সদস্য আরিফুর রহমান।