Friday, October 10, 2025

বিদেশে চিকিৎসাধীন কোকোর মৃত্যুর দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপানো বিএনপির মিথ্যাচার!

Share

নিজস্ব প্রতিবেদক
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আরাফাত রহমান কোকো গ্রেফতার হন। ২০০৮ সালে জামিনে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান এবং পরবর্তীতে মালয়েশিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে—যখন কোকো বিদেশে পরিবারের সাথে বসবাস করছিলেন, আর শেখ হাসিনা ছিলেন তৎকালীন সময় জেলে বা পরবর্তীতে বাংলাদেশে, তখন কোকোর মৃত্যুর সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক কোথায়? এটা স্পষ্ট মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। বিএনপি নেতাদের এই অভিযোগ শুধুই জনগণকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র।

৫ আগস্টের পর বিএনপির কোকোর মৃত্যুর জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে। শেখ হাসিনা নাকি কোকোকে মেরে ফেলেছে! তারেক রহমানও কোকোর মৃত্যুর জন্য পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগকে দায়ী করছে।

সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারেক বলেন, দেখুন, আমি ১৭ বছর যাবত প্রবাস জীবনে আছি। ওয়ান ইলেভেন, তথাকথিত ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় যেই শারীরিক নির্যাতন আমার উপরে হয়েছিল তারপরে চিকিৎসার জন্য আমি এই দেশে আসি।

আমি যখন এখানে আসি, আমার ভাইকে আমি রেখে এসেছিলাম ছোট ভাইকে। আমি যখন এই দেশে আসি আমার সুস্থ মাকে আমি রেখে এসেছিলাম। একটি ঘর রেখে এসেছিলাম। যেই ঘরে আমি এবং আমার ছোট ভাই বড় হয়েছি। যেই ঘরে আমার বাবার স্মৃতি ছিল। যেই ঘরে আমাদের দুই ভাইয়ের সন্তানরা জন্মগ্রহণ করেছিল। যেই ঘরে আমার মায়ের বহু স্মৃতি ছিল।

সেই স্মৃতিগুলোকে ভেঙে চুড়ে ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে ভাইকে আমি রেখে এসেছিলাম সেই ভাই এখন আর নেই। যেই সুস্থ মাকে রেখে এসেছিলাম সেই সুস্থ মা এখন সুস্থ নেই। শুধু অসুস্থই নন, উনার উপরে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনও করা হয়েছে।

আমি আমার পরিবারের যেই কাহিনী আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। এটিকে আপনারা কাহিনী বলুন, বা সংগ্রাম বলুন যেটাই বলুন না কেন, এটি শুধু আমার কাহিনী না, বা আমার পরিবারের কাহিনী না। এরকম কাহিনী বাংলাদেশের শত না, হাজার হাজার পরিবারের।

অথচ আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে তার শোকাহত মা খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে গেট থেকে ফিরে দেওয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

বিদেশে পরিবারের সাথে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া একজন মানুষের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগকে দায়ী করা মানে জনগণকে অন্ধকারে রাখার চেষ্টা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা। এমন অসত্য অপপ্রচার প্রমাণ করে—বিএনপি আজও সত্যকে ভয় পায়, আর মিথ্যার ওপর ভর করে রাজনীতি করতে চায়।

Read more

Local News