বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র, এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদকে পায়তারা করে ফেলে দেওয়া একদল লুটেরার কথা বলতে হলে, প্রথমেই নাম আসে মুহাম্মদ ইউনুসের। একজন অর্থপিশাচ সুদখোর মহাজন, যিনি দেশের নির্বাচিত সরকারকে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা দখল করেছেন জুলাই দাঙ্গার মাধ্যমে। এই দাঙ্গা, যা ছিল ইসলামিক জেহাদি জঙ্গি সংগঠনের সহায়তায় এবং সামরিক বাহিনীর সমর্থনে সাজানো, তার পেছনে ছিল বিদেশি রাষ্ট্রের টাকা। আর এই অবৈধ সরকার, যারা নিজেদেরকে ‘উপদেষ্টা’ বলে ডাকে, তারা এখন দেশের টাকা পানিতে ফেলে বিদেশ সফরের নাম করে পিকনিক করছে।
প্রায় ১৪ মাসে ১৩ বার বিদেশ সফর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস। তার সঙ্গে গেছেন একশো জনেরও বেশি লোক—উপদেষ্টা, কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, নিরাপত্তা দল। জাতিসংঘ অধিবেশনে যাওয়ার নাম করে এই বিশাল বহর নিয়ে নিউইয়র্কে গিয়ে তারা কী করেছেন? বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা? না, তারা গেছেন নিজেদের ভোগবিলাস চরিতার্থ করতে, দেশের টাকা উড়াতে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, “আমরা ভেবেছিলাম গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিনিধি দলের সংখ্যা আরো কমবে। কিন্তু সেটা আরো বেড়েছে।” অর্থাৎ, এই সরকারের কাছে দেশের টাকা পানিতে ফেলা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই।
গত বছরের ডিসেম্বরে উপদেষ্টা ও কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর নিয়ে বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হলেও তার কিছুই মানা হচ্ছে না। সরকারের নিজের নির্দেশনা তারা নিজেরাই ভঙ্গ করছে। সাবেক সচিব আব্দুল আউয়াল মজুমদার বলেছেন, “বিদেশ যাত্রা নিয়ে সরকারের নিজের নির্দেশনা সেটি প্রতিপালিত হচ্ছে না কারণ হচ্ছে সরকার নিজেই ব্যর্থ। সরকার নিজেরা নির্দেশনা দিয়ে নিজেরাই সেটি ভঙ্গ করছে।” এই সরকারের কাছে কোনো বিবেক নেই, কোনো দায়িত্ববোধ নেই। তারা শুধু চায় দেশের সম্পদ লুট করতে, বিদেশে গিয়ে বিলাসিতা করতে।
উপদেষ্টাদের ঘনঘন বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দুই দফায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর করেছেন, যেখানে বেশিরভাগই ছিল দূতাবাসের আয়োজিত অনুষ্ঠান। ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ গত এক বছরে অন্তত তিন বার বিদেশ সফর করেছেন। এই সফরগুলোর গুরুত্ব কতখানি? কোনো যৌক্তিক উত্তর নেই। সাবেক সচিব আব্দুল আউয়াল মজুমদার বলেছেন, “বিদেশ সফরের নামে আমাদের দেশে নৈরাজ্য চলে। এখানে কোনো নিয়মনীতি নাই। বিবেকের দায় নেই। সুযোগ পেলেই বিদেশ যায়, অর্থের অপচয় হয়, কাজের ক্ষতি হয়। এটা একটা নেশার মতো হয়ে যায়।”
এই সরকারের কাছে দেশের মানুষের কোনো মূল্য নেই। তারা শুধু চায় নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে, দেশের সম্পদ লুট করতে। তাদের বিদেশ সফর কোনো রাষ্ট্রীয় কাজের জন্য নয়, বরং নিজেদের ভোগবিলাসের জন্য। এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের প্রতিবাদ হওয়া উচিত। কিন্তু তারা তো আর মানুষের কথা শুনবে না। তারা তো শুধু চায় দেশকে লুট করতে, দেশের মানুষকে ধোঁকা দিতে।