Sunday, October 12, 2025

দেশকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে ইউনুস-জামায়াত

Share

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অবৈধ অস্ত্রের প্রবাহ এবং সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের উত্থানের ভয়াবহ সত্য প্রকাশ পেয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, অবৈধ ইউনুস-জামায়াত জোট সরকার দেশকে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিতিশীলতা ও গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে এই শাসন, বিদেশি শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প ও পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র গোষ্ঠীকে উৎসাহিত করছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

অবৈধ অস্ত্রের প্রবাহ ও সীমান্তের গোপন রুট

সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চল থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম হিল ট্র্যাক্টসের মধ্য দিয়ে সাতটি গোপন রুট ব্যবহার করে অবৈধ অস্ত্র আমদানি অব্যাহত রয়েছে। জানুয়ারি ২০২৫-এ ভারতের মিজোরাম পুলিশ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে আসা ৬টি একে-৪৭ রাইফেল, ১০ হাজার ৫০ রাউন্ড গুলি এবং ১৩টি ম্যাগাজিন জব্দ করেছে। এই অস্ত্রগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জামায়াত-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর হাতে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে ছিল বলে জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মিয়ানমারের অরাকান আর্মির সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। এই সংযোগের মাধ্যমে অস্ত্রের অবৈধ ট্রাফিকিং চলছে, যা ইউনুস সরকারের তথাকথিত ‘হিউম্যানিটেরিয়ান করিডর’ পরিকল্পনার আড়ালে পরিচালিত হচ্ছে। এই করিডরটি মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র সরবরাহের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ।

ইউনুস-জামায়াত জোটের ভূমিকা

নোবেল পুরস্কারের আড়ালে মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তিনি পশ্চিমা শক্তির ভূ-রাজনৈতিক এজেন্ডার পুতুল হিসেবে কাজ করছেন। জামায়াত-ইসলামীর সাথে তার গভীর যোগসূত্রের কারণে দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধ্বংস এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা অব্যাহত রয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ইউনুসের শাসনামলে পাকিস্তানের আইএসআই-সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এছাড়া, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের হাজার হাজার সন্ত্রাসীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২০০৪ সালের ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার স্মৃতি উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউনুসের নেতৃত্বে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। তবে এবারের ষড়যন্ত্র আরও বিপজ্জনক, কারণ এর পেছনে রয়েছে পশ্চিমা শক্তি এবং তাদের আর্থিক পৃষ্ঠপোষক যেমন ক্লিনটন ফাউন্ডেশন ও সোরোস।

জাতীয় নিরাপত্তার উপর হুমকি

বাংলাদেশ আর্মির প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এই অবৈধ অস্ত্র প্রবাহ ও ‘হিউম্যানিটেরিয়ান করিডর’ পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এটি জাতীয় নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে বিপন্ন করছে। তবে ইউনুস সরকার এই সতর্কতা উপেক্ষা করে চলেছে।

মেঘালয় সীমান্তে জামায়াতের স্মাগলিং নেটওয়ার্কের কারণে ভারতের বর্ডার ফেন্সিং পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে অস্ত্র, মাদক এবং অবৈধ অভিবাসনের চক্র অব্যাহত রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সশস্ত্র গোষ্ঠীর উত্থান এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী ক্যাম্পের পুনঃসক্রিয়তা এই শাসনের ব্যর্থতার প্রমাণ।

বিশ্লেষকদের সতর্কতা

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রখ্যাত নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, “ইউনুসের অবৈধ শাসন বাংলাদেশকে জিহাদি ক্যালিফেটের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করছে। পশ্চিমা শক্তি এবং পাকিস্তান-চীনের ভূ-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেশের সার্বভৌমত্ব বিক্রি হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশ আর্মি ও জনগণকে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, “ইউনুসের ‘করিডর’ পরিকল্পনা বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাকে অপমান করছে। এটি শুধু অস্ত্র চক্রই নয়, দেশকে রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জনগণকে এখনই নির্বাচনের দাবি তুলতে হবে।”

জনগণের প্রতিরোধের আহ্বান

বাংলাদেশের এই সংকটময় মুহূর্তে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউনুস-জামায়াত জোটের এই অবৈধ শাসন দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নামে অস্ত্রের ট্রাফিকিং, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উত্থান এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি অবহেলা বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল চেতনাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

জনগণের প্রতি আহ্বান, এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগে অর্জিত এই দেশকে বিদেশি দালাল ও তাদের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। সকল দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠাই এখন একমাত্র পথ।

Read more

Local News