Share
বাংলাদেশ আজ এক বিভীষিকাময়, ভয়ংকর মানবাধিকার বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে — এই দেশ, যাকে একসময় দক্ষিণ এশিয়ার “রাইজিং টাইগার” বলা হতো, এখন মানবিক বিপর্যয় ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার এক অন্ধকার গহ্বরে পতিত হয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের তথাকথিত অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাত্র এক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা, নিপীড়ন ও রাষ্ট্রীয় দমননীতির কারণে ১ লাখ ৫৯ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএম ও আইডিএমসি-এর এই তথ্য কোনো রাজনৈতিক প্রচারণা নয় — এটি একটি ভয়াবহ বাস্তবতা।
শুধুমাত্র রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে আজ এই মানুষদের কেউ আত্মগোপনে, কেউ অন্য জেলায়, কেউ অজানার পথে পাড়ি জমিয়েছে। তাদের অপরাধ একটাই — তারা আওয়ামী লীগের সমর্থক, বা আওয়ামী সরকারের সময় প্রশাসনে কাজ করেছিল।
ইউনুস সরকার তার কথিত “মানবাধিকার পুনর্গঠনের” নামে দেশে যা চালাচ্ছে, তা প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্র-পর্যায়ের প্রতিশোধ অভিযান। বিএনপি–জামায়াতের পুনরুত্থান এবং প্রশাসনের একাংশের সহযোগিতায় এই দমননীতি এখন এক নতুন রূপ নিয়েছে — যেখানে আইন, সংবিধান, মানবতা, সবই পরিণত হয়েছে অস্ত্রহীন নাগরিকদের বিরুদ্ধে।
মাঠে-ময়দানে যে সন্ত্রাস চলছে, তার পেছনে সরকারের নীরব অনুমোদনই সবচেয়ে ভয়ংকর দিক। গ্রামে গ্রামে আওয়ামী লীগের কর্মীদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, নারী-শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, কিন্তু প্রশাসন চোখ বন্ধ করে আছে। বাস্তুচ্যুতদের এই বিপুল সংখ্যাই প্রমাণ করে, বাংলাদেশ এখন গণতন্ত্রের নয়, প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার।
ইউনুস সরকারের মন্ত্রীরা বিদেশে মানবাধিকারের বুলি আওড়ালেও দেশে চলছে অন্য বাস্তবতা — সাংবাদিক গ্রেপ্তার, মানবাধিকারকর্মীদের নিখোঁজ, সংখ্যালঘুদের মন্দির পোড়ানো, আর লাখো মানুষের জীবন উল্টে দেওয়া।
এই যে মানুষগুলো — একসময় যাদের ঘরে আলো জ্বলত, তারা আজ রাত কাটাচ্ছে রেলস্টেশন, বস্তি ও আত্মগোপনের অন্ধকারে। বাংলাদেশের জনগণকে আজ প্রশ্ন করতে হবে: মানবাধিকার কাদের জন্য? গণতন্ত্র কার হাতে নিরাপদ?
যে সরকার ১৪ মাসে এক লাখ ষাট হাজার মানুষকে ঘরছাড়া করেছে, সে কখনোই মানবতার ভাষায় কথা বলতে পারে না। বাংলাদেশের মানুষের আজ একটাই দাবি — গণতন্ত্র ফিরিয়ে দাও, ইউনুসের দুঃশাসন খতম করো।
আরো পড়ুন

