Share
কক্সবাজারের কলাতলীর একটি অভিজাত হোটেলে অবস্থানরত একজন ব্যারিস্টারের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও গোপনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, হোটেলের রুম সার্ভিস কর্মচারী হামজা বাথরুমের ভেন্টিলেটরে মোবাইল ফোন লুকিয়ে রাখার মাধ্যমে ব্যারিস্টার ফুয়াদ-এর ব্যক্তিগত মুহূর্ত ধারণ করেন। পরে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়দেওয়া সাঈদী সহযোগিতায় ভিডিও এবং স্থিরচিত্র ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যে ভিডিও ভাইরাল হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, হামজা মহেশখালীর স্থানীয় এবং প্রায় ছয় মাস ধরে হোটেলে কর্মরত ছিলেন। তার প্রধান সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত সাঈদীর নিয়মিত হোটেলে যাতায়াত করতেন। পুলিশ ধারণা করছে, ব্যক্তিকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা বা ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।
কক্সবাজার থানার এক কর্মকর্তা বলেন, “অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালাচ্ছে। প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
হোটেল কর্তৃপক্ষও ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। হোটেল ব্যবস্থাপক (নাম অপ্রকাশিত) বলেন, এটি একটি লজ্জাজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। অভিযুক্ত কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং পুলিশকে পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে কর্মচারী নিয়োগ আরও কঠোরভাবে হবে।
আরো পড়ুন