নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধাতে এবার তরুণ-তরুণীদের আগ্নেয়াস্ত্রের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। টার্গেট একটাই, নির্বাচন বানচাল করা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লেখেন , দেশের ৭ টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রাথমিকভাবে মোট ৮৮৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণার্থীদের কারাতে, জুডো, তায়কোয়ান্ডো এবং আগ্নেয়াস্ত্রের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
মূলত এনসিপি হলো অধ্যাপক ইউনূসের পেটোয়া বাহিনী। তাদের মাধ্যমেই সহিংস অন্দোলন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন ইউনূস। এবারও তাদেরকে দিয়ে দেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধিয়ে নির্বাচন বানচালের ফাঁদ পেতেছে ইউনূসের সরকার। তিনি চাইছেন নির্বাচন বানচাল করে ক্ষমতা চালিয়ে যেতে। সেইসঙ্গে আমেরিকাকেও তাদের হিস্যা বুঝিয়ে দিতে।
এরইমধ্যে জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিয়ে গড়া দল এনসিপিকে রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক করে তোলা হচ্ছে। কথিত জুলাই সদন অনুষ্ঠানে তাদের ডাকা হয়নি। পাশাপাশি তাদের প্রতীক নিয়েও হযবরল অবস্থা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তারাও নির্বাচন হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউনূসই এই দল অপ্রাসঙ্গিক করে নির্বাচন বানচাল করাতে চাইছে।
তথ্য উপদেষ্টা থাকার সময় মো. নাহিদ ইসলাম গত বছর জানান, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার গণহত্যা চালালে এবং বিজয় অর্জন না হলে সশস্ত্র সংগ্রামের ভিডিও বার্তা দিয়ে রেখেছিলেন ।
এরপর বিমানবন্দরে আসিফের ব্যাগে একে-৪৭ এর অ্যামোনেশন পাওয়া যায়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসব ঘটনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা, রাজনৈতিক আন্দোলন, এবং প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীগুলোর সম্ভাব্য পুনঃউত্থানেরও ইঙ্গিত বহন করে।
এদিকে প্রতীক নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছে এনসিপি। তারা নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বলছে, শাপলা প্রতীকই দিতে হবে। শাপলা ছাড়া বিকল্প প্রতীক পছন্দের শেষ দিনে ১৯ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনে এসে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা বলেছেন, কোনো ধরনের ‘চাপিয়ে’ দেওয়া প্রতীক তারা নেবেন না।
এদিন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, দেশে বিমানবন্দরসহ নানা স্থানে অগ্নিকাণ্ড ঘটছে; মানুষেরও নিরাপত্তা নেই। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে’?
এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শাপলা না পেলে তারা নিবন্ধনও নেবে না। অর্থাৎ দলটি চাইছে দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে।
বিশ্লেষকরা বলছে, জুলাই আন্দোলনের মতো এবারও নির্বাচনের আগে এনসিপিকে দিয়ে সহিংসতা করাতে চায় সরকার। আর এ জন্যই নির্দিষ্ট কিছু তরুণ-তরুণীদের আগ্নেয়াস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকার। যাতে নির্বাচন বানচাল করা যায়।