বর্তমান অবৈধ ইউনুস সরকারকে ঘিরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো বিদেশি বিনিয়োগকারীর হাতে হস্তান্তরের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দেশের তিনটি প্রধান বন্দর ইতিমধ্যেই বিদেশি সংস্থার হাতে অবৈধভাবে ইজারা দেওয়া হয়েছে। এখন খবর পাওয়া গেছে যে, দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর—শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং কক্সবাজার বিমানবন্দর—ও বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সূত্রের খবর, সরকারের কিছু অংশ মোটা অংকের কমিশনের বিনিময়ে এই হস্তান্তর কার্যক্রমে জড়িত।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও বিমানবন্দর বিদেশিদের হাতে চলে গেলে জাতীয় নিরাপত্তা, বাণিজ্যিক নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। এসব অবকাঠামো কেবল বাণিজ্যিক কেন্দ্র নয়; এটি দেশের অভ্যন্তরীণ সংযোগ ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থারও মূল কেন্দ্র। বিদেশি নিয়ন্ত্রণে গেলে তথ্য, মালামাল এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত যাবতীয় প্রক্রিয়া সংবেদনশীল হয়ে উঠবে।
সাম্প্রতিক বিমানবন্দর অগ্নিসংযোগের ঘটনা এই আশঙ্কাকে আরও তীব্র করেছে। অনেক সূত্র দাবি করছে, আগুন পরিকল্পিতভাবে লাগানো হয়েছিল, যাতে গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং মালামাল ধ্বংস হয়। কার্গো গুদামের মূল্যবান মালামাল আগুনের আগে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করছে।
জনগণ এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা স্বাধীন ও তৎপর তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, সরকারের এই কার্যক্রম যদি সত্য হয়, তবে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা বিপন্ন হবে। দেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থা রক্ষার জন্য সরকারের উচিত স্বচ্ছ, প্রমাণভিত্তিক এবং জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
দেশের বন্দর ও বিমানবন্দর কেবল বাণিজ্যকেন্দ্র নয়; এটি দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতীক। সরকারের অবৈধ কার্যক্রমের কারণে যদি এই স্থাপনা বিদেশিদের হাতে চলে যায়, তা দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্ত ছাড়া জনগণ কখনো জানতে পারবে না, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিদেশি হস্তান্তরের প্রকৃত উদ্দেশ্য কী। তাই এখনই স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। হটা ও ইউনুস বাচাও দেশ; দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষা করতে জনগণকে সক্রিয় হতে হবে।