Friday, October 24, 2025

ধর্ষকই যখন পুলিশ সদস্য, তবে এদেশের শিশু থেকে নারীরা কার কাছে নিরাপত্তা চাইবে?

Share

রাজধানীর কলাবাগান পুলিশ বক্সের সামনে কাঁদতে থাকা এক শিশুকে এক কনস্টেবলের নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের খবরে সারাদেশ আজ প্রকম্পিত। ঐ ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের নাম মো. রুহুল আমিন। গত ২০ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় চাষাঢ়া থেকে ঐ কনস্টেবলকে ভুক্তভোগী শিশু সহ আটক করা হয়।

ইউনূস ম্যাজিকের নতুন বাংলাদেশে নারী ও শিশুরা আজ অসহায়। ৮ বছরের আছিয়া থেকে শুরু করে খাগড়াছড়ির মারমা কিশোরী; এক মিছিল ও কিছুদিনের উত্তেজনার পর ধর্ষকেরা আবার সুযোগ খুঁজে। এবছরের রমজানের ঈদের পর থেকে আগস্ট পর্যন্ত ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার দ্বিতীয়তলার নারী ব্যারাকে ঢুকে এক নারী পুলিশ সদস্যকে ৬ মাস ধরে ধর্ষণ করে একই থানার আরেক কনস্টেবল। তাহলে, ধ্বংসের কোন প্রান্তে দাড়িয়ে আছে বর্তমান বাংলাদেশ? এ দেশে শিশু থেকে নারী, এমনকি বৃদ্ধারাও এখন অনিরাপদ।

দেশে ধর্ষণের এত উত্থানের পেছনে মূল কারণ উগ্রবাদী ইউনূসের বিচারহীনতা। খাগড়াছড়ির মারমা কিশোরীর শারিরীক পরীক্ষার রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত না পাওয়ার জমাকৃত প্রতিবেদন ধর্ষকদের দায়মুক্তির দেওয়ারই একটি স্ক্রিপ্ট। একজন ধর্ষককে বাঁচাতে গিয়ে খাগড়াছড়িতে তিনজন নিরপরাধের জীবন নিয়েছে দখলদার ইউনূস।

এছাড়াও যে নারী পুলিশ সদস্য ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তিনিও দিনের পর দিন থানায় ঘুরে এর কোন প্রতিকার না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এবার আরেক পুলিশ সদস্যের হাতে এক অবুঝ শিশু ধর্ষিত, বাংলাদেশকে মধ্যযুগীয় জাহেলিয়াতের যুগে ঠেলে দেওয়া ইউনূস গংয়ের যেন কোন দায় নেই।

উল্টো চেষ্টা করা হবে, এবারও যেন ধর্ষককে যেকোন অপব্যাখ্যা দাড় করিয়ে বাঁচানো যায়। এই জালিমদের এত অনাচারের পরেও এ জাতি যদি বিবেকহীন ভাবে নিশ্চুপ বসে থাকে; তবে আপনাদের প্রতি অনুরোধ, আপনার পরিবারের নারী-শিশু-বৃদ্ধাকে নিরাপদে ঘর বন্দি করেই রাখুন, কারণ ঘরের বাইরে রাক্ষুসে ইউনূসের ধর্ষকেরা ঘুরছে।

রেফারেন্সঃ

কাঁদতে থাকা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে 

খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীর মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে ক্ষোভ, ‘কান্না ছাড়া উপায় নাই’ বলছেন বাবা

থানা ব্যারাকে পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণ

আরো পড়ুন

সদ্য প্রকাশিত