Share
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিখোঁজের একদিন পর গতকাল, ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার শৌলাগড় হাওর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক লাল দাশের (৭০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাংলা ট্রিবিউনের বরাতে পাওয়া পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকালে প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বের হয়েছিলেন মানিক লাল। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার সন্ধান না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় জেলেরা হাওরে লাশ ভাসতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
অত্যাচারী-ফ্যাসিস্ট এবং দেশবিরোধী ইউনূসের অবৈধ এই রেজিমে বর্তমান বাংলাদেশে দৈনিক ১১টা করে খুন হয়। জুলাই দাঙ্গার পর ক্ষমতার দখলদার এই স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্টের মেটিকুলাস ডিজাইনে জেল ভেঙে ছাড়িয়ে নেওয়া জঙ্গী-আসামিরা দায়মুক্তি কিংবা নির্বিচারে খালাস প্রাপ্ত হয়ে এখন লোকালয়ে মুক্ত বিচরণ করছে। এদেশে নদী এলাকাগুলো থেকে প্রতিমাসে দৈনিক ৪৩ টি করে লাশ উদ্ধার হচ্ছে, হত্যার পর আইনের চোখ ফাঁকি দিতে এবং প্রমাণ সড়াতে হত্যাকারীরা নদীগুলোকে বেছে নিচ্ছে।
অথচ মৃত্যুর পেছনে সঠিক কারণ জানেনা পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর শরীরে জখমের চিহ্ন ছিলো কিনা, সেটুকু না দেখেই হয়তো ময়নাতদন্তে তড়িঘড়ি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিলো বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ। দখলদার ইউনূসের সাথে একাত্তর বিরোধী জামায়াত প্রেম এবং মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস বিরোধী তৎপরতা খুবই স্পষ্ট।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধ ভাঙচুর, স্কুলের শহীদ মিনার গুড়িয়ে দেওয়া, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অপমান এবং ধানমন্ডি ৩২ এর জাদুঘর বাধায় মব পাঠিয়ে ভেঙে ফেলা সহ আরও নানা দেশবিরোধী অপতৎপরতা ও বাঙালি জাতির সাথে পাকিস্তানি দোসর জামায়াতের প্রতিশোধের পরিকল্পনাগুলোর বাস্তবায়নে ইউনূসের প্রত্যক্ষ যোগসাজশ অত্যন্ত স্পষ্ট। তাছাড়া উগ্রবাদীদের দখলে যখন দেশটা জিম্মি, একজন নিহত সংখ্যালঘু ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা হলেই বা কি এসে যায়?
হে জাতি, এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা আজ ইউনূসের জুলাই হত্যাকারীদের হাত থেকে শুধু অপমান-অপদস্ত কিংবা হেনস্তার পরেও নিস্তার পাচ্ছে না, তাদের বেছে বেছে খুন করা হচ্ছে সুক্ষ্ম পরিকল্পনা মোতাবেক। সময় এসেছে নিরবতা ভেঙে দেশবিরোধী খুনি-অপশক্তির বিরুদ্ধে অস্তিত্বের লড়াইয়ে অংশ নেবার। বাঙালী বীরের জাতি, এই বাংলার মাটিতে স্বাধীনতা সৈনিকদের অমর্যাদা-খুন এই জাতি মেনে নিতে পারে না।
আরো পড়ুন

