Wednesday, October 22, 2025

সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে পঙ্গু রাষ্ট্র বানাতে চায় কারা?

Share

শান্তিরক্ষা মিশনের টোপে এক ভয়ঙ্কর চক্রান্ত রচনা করেছিল বিদেশী প্রভুরা। ২০২৪ সালের আগস্টে, সেই টোপ গিলিয়ে বাংলাদেশ আর্মিকে দিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক অপারেশন চালানো হয়েছিল। জনগণের কণ্ঠ রুদ্ধ করে, রাষ্ট্রীয় মর্যাদা তুচ্ছ করে, গণতন্ত্রকে পদদলিত করে—বিদেশী স্বার্থ রক্ষার জন্য সেনাবাহিনীকে সামনে ঠেলে দিয়েছিল প্রভুরা। যেন একদমই স্পষ্ট বার্তা: “তোমরা আমাদের জন্য কাজ করো, আমরা তোমাদের শান্তিরক্ষা মিশনের মর্যাদা রক্ষা করব।”

কিন্তু আজ? ঠিক সেই প্রভুরাই সেনাবাহিনী ও পুলিশের পিঠে ছুরি মেরেছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৩১৩ জন সদস্যকে বাদ দেওয়া হয়েছে, আর পুলিশ কন্টিনজেন্টকেও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

এটা নিছক প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয় — এটা এক ঠান্ডা মাথার বিশ্বাসঘাতকতা। যাদের সন্তুষ্ট রাখতে গিয়ে সেনাবাহিনীকে জনগণের বিপক্ষে দাঁড় করানো হয়েছিল, তাদের কাছ থেকেই এসেছে চূড়ান্ত ধাক্কা।

এক সময় বড় বড় মিশনে বাংলাদেশ ছিল গর্বের প্রতীক। আজ সেই জায়গা অন্য দেশগুলোকে সামনে ঠেলে দিয়ে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়—এটা পুরোটাই পরিকল্পিত, ধাপে ধাপে বাংলাদেশকে কোণঠাসা করার বিদেশী কৌশল।

ফলাফল? ভবিষ্যতে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ মূল বাহিনীর জায়গা হারাবে। থাকবে শুধু বিমান ও নৌবাহিনীর কয়েকজন মিলিটারি অবজার্ভার—তাও প্রান্তিক ভূমিকায়। যে খাতে একসময় বাংলাদেশের পতাকা উড়ত মর্যাদার সঙ্গে, আজ সেই পতাকা নামিয়ে আনা হচ্ছে প্রভুদের ইচ্ছায়।

এটাই সেই নিষ্ঠুর বাস্তবতা — যাদের খুশি রাখতে গিয়ে সেনাবাহিনী জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল, তারাই আজ আর্মি ও পুলিশের মর্যাদা পদদলিত করেছে। টোপ গিললে শেষমেশ জালে আটকাতেই হয়—আর আজ সেই জালেই ধরা পড়েছে রাষ্ট্রের মূল শক্তি।

আরো পড়ুন

সদ্য প্রকাশিত